(CLICK ON CAPTION/LINK/POSTING BELOW TO ENLARGE & READ)

Tuesday, February 19, 2013

অভিমত সংস্কৃতি কর্মীদের সেই ‘গুণ্ডা’রাই এখন সরকারকে ‘কন্ট্রোল’ করছে


অভিমত সংস্কৃতি কর্মীদের সেই ‘গুণ্ডা’রাই এখন সরকারকে ‘কন্ট্রোল’ করছে

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৯শে ফেব্রুয়ারি—রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসেই প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন তিনি ‘গুণ্ডা কন্ট্রোল’ করেন। আর তাঁর সরকারের উনিশ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরে দেখা যাচ্ছে, সেই ‘গুণ্ডা’রা তাঁর সরকারটাকে ‘কন্ট্রোল’ করছে। নৈরাজ্যের সেই পরিস্থিতিতে বাম–ডান নির্বিশেষেই মানুষের উপরেও নিগ্রহ বাড়ছে। আমরা চাইছি গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। এই দাবি নিয়ে আগামী সপ্তাহে ‘সংস্কৃতি সমন্বয়’–এর নেতৃবৃন্দ রাজ্যপালের কাছে যাবেন এবং রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানাবেন। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই কর্মসূচীর কথা জানান সংস্কৃতি সমন্বয়ের সভাপতি নাট্যকার ও অভিনেতা অধ্যাপক অশোক মুখোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র, অভিনেতা দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, নাট্যকার চন্দন সেন, অমলেশ চক্রবর্তী, অসিত বসু, সংগ্রামজিৎ সেনগুপ্ত, সমাজকর্মী মালবিকা চট্টোপাধ্যায়, অভিনেত্রী পাপিয়া অধিকারী, সঙ্গীত শিল্পী শুভেন্দু মাইতি প্রমুখ। 

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের পক্ষে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, আমাদের বক্তব্যের সমর্থনে একাধিক প্রমাণও রয়েছে, যা রাজ্যের জনগণের কাছেও পরিষ্কার। তারই সর্বশেষ প্রমাণ মিললো গার্ডেনরিচ কাণ্ডে। ওখানে প্রকাশ্য দিনের বেলায় একজন পুলিস আধিকারিককে খুন করলো সেই সব দুষ্কৃতীরা। আর সেই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত অপরাধীদের এখন আড়াল করে চলেছেন তাঁরই দলের মন্ত্রী থেকে প্রভাবশালী নেতানেত্রীরা। ভয়াবহ এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যে শান্তিশৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। সাম্প্রতিককালের এই বিষয়টিকে দুষ্কৃতীদের অবাধ দাপট এবং তাদের পিছনে রাজ্য প্রশাসনের প্রশ্রয় ও মদত হিসাবেই দেখতে পাচ্ছি। 

আগামী সপ্তাহে সংস্কৃতি সমন্বয় ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের কাছে যে স্মারকলিপি পেশ করা হবে, তাতে বেশ কিছু বিষয়ের উল্লেখ থাকবে। রাজ্যে ভয়াবহ সন্ত্রাস ও শাসক দলের তরফে সেই সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সক্রিয় উদ্যোগ, আবার এব্যাপারে প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা, শান্তিশৃঙ্খলা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, নাগরিক জীবনের সুস্থিতি এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির অঙ্গনে মুক্ত বাতাস আনা এবং অবাধে শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ তৈরি করা প্রভৃতি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে রাজ্যপা‍‌লের।

No comments:

Post a Comment