নিজস্ব প্রতিনিধি
নয়াদিল্লি, ১৭ই ফেব্রুয়ারি — ভোট প্রক্রিয়ায় অর্থের বাড়বাড়ন্ত কমাতে সচেষ্ট হলো নির্বাচন কমিশন। এই লক্ষ্যে বেশকিছু কড়া পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন ২হাজার ১৭১জনের প্রার্থীপদ বাতিলই করে দিয়েছে কমিশন। এঁরা লোকসভা অথবা বিধানসভা নির্বাচনের খরচের যথোপযুক্ত হিসাব কমিশনের কাছে দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এঁরা প্রাথীপদ বাতিলের দিন থেকে তিনি বছর এবং সর্বোচ্চ ২০১৬সাল পর্যন্ত কোনো নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, নির্বাচনী সংস্কার প্রক্রিয়ার অঙ্গের অন্যতম হলো অর্থকরী স্বচ্ছতা প্রণয়ন করা। সেকারণেই এই কড়া ব্যবস্থা নিতে হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
লোকসভা এবং বিধানসভা মিলে প্রার্থীপদ বাতিলের তালিকায় শীর্ষ রয়েছে মহারাষ্ট্র। ঐ রাজ্যের ২৬০প্রার্থী কমিশনের নিয়মের জালে আটকা পড়ে গেছেন। এরপরেই রয়েছে ছত্তিশগড়। ঐ রাজ্যের ২৫৯প্রার্থী বাতিল হয়েছন। তেমনই হরিয়ানায় ১৯৭জন, ওড়িশায় ১৮৮জন এবং মধ্য প্রদেশে ১৭৯জন নির্বাচনী নিয়মকানুন উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছেন। এরপরেই রয়েছে উত্তর প্রদেশ (১৫৯), ঝাড়খণ্ড (১১৮) এবং তামিলনাডু (৯৭)। শুধু লোকসভা কেন্দ্র ধরলে সর্বাধিক প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে উত্তর প্রদেশে। ঐ রাজ্যের ১৫৮জন কমিশনের নিয়ম পূরণ করতে পারেননি। বিধানসভা ভোটের ক্ষেত্রে এই প্রশ্নে সর্বাধিক প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে ছত্তিশগড়ে (২৪০)। এঁদের প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে ১৯৫১সালের জনপ্রতিনিধিত্বমূলক আইনের ৮(এ)-র সঙ্গে ১১ (এ) (২) এবং ১০এ ধারায়। ৩০দিনের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এঁরা কেউই তাঁদের নির্বাচনী খরচের হিসাব দাখিল করতে পারেননি কমিশনে। উল্লেখ্য, ২০০৯সালের সেপ্টেম্বরে ৩হাজার ২৭৫জনের প্রার্থীপদ বাতিল করেছিল কমিশন।
No comments:
Post a Comment