(CLICK ON CAPTION/LINK/POSTING BELOW TO ENLARGE & READ)

Friday, March 29, 2013

SUICIDE BY PIYALI MUKHERJEE, ADVOCATE


GANASHAKTI

তৃণমূল নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠছে দলেই|

নিজস্ব প্রতিনিধি

দমদম ও বর্ধমান, ২৮শে মার্চ— রাজারহাটের বিলাসবহুল আবাসনে তৃণমূলের এক নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়েই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন, তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নিরপেক্ষ পুলিসী তদন্তের দাবি উঠতে শুরু করেছেন খোদ পরিবারের সদস্যদের থেকেই। দাবি তুলছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশও। দলের এক নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিস্ময়কর নীরবতা ঘটনার মাত্রা গভীর করেছে।

মৃত এই তৃণমূল নেত্রীর নাম পিয়ালী মুখার্জি (৩০)। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আইনজীবী। তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী বলেই পরিচিত ছিলেন। বর্ধমানের বাসিন্দা হলেও তিনি শেষদিকে কলকাতাতেই ছিলেন কর্মসূত্রে। তাঁর স্বামী, ৬বছরের কন্যা এবং পরিবারের সদস্যরা বর্ধমানেই থাকেন। পিয়ালী মুখার্জি রাজারহাটের নারায়ণপুর অঞ্চলের একটি বিলাসবহুল আবাসনে একাই থাকতেন। গত মঙ্গলবার রাতে ঘরের ভিতরেই তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বুধবার আর জি কর হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয়েছে। পরিবারসহ একাংশের তৃণমূল কর্মীদের দাবি শুধু ময়না তদন্তই নয়, মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের পুলিসী তদন্ত করতে হবে। 

এদিকে এয়ারপোর্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, মৃতার ঘর থেকে ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পুলিস তাঁর ল্যাপটপ, ফাইল, কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে সুইসাইড নোটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুলিস কিছুই জানাতে চায়নি। পুলিস সূত্রে জানা গেছে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ঐ আবাসনের কেয়ারটেকারকে। পিয়ালী মুখার্জির গাড়ির ড্রাইভার হেমন্ত মুন্নার কাছ থেকেই জানা গেছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পর আর কোথাও যাননি তিনি। সেদিন রাতে তাঁর এক বান্ধবী এবং আরও একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে তাঁর ফ্ল্যাটে আসতে দেখা যায়। 

তবে এদিন পরিবারের তরফে দৃঢ়তার সঙ্গেই পিয়ালী মুখার্জির একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদের তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন তড়িঘড়ি মানসিক অবসাদের তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা চলছে? পিয়ালী মুখার্জি তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেত্রী ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর দ্রুত উত্থান, আর এই সময় থেকেই তাঁর সাথে পরিচয় তৃণমূলের রাজ্য নেতাদের সাথে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের তরফে বর্ধমানের দায়িত্ব পাওয়া কলকাতার এক দাপুটে নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ দলীয় মহলেও সুবিদিত। তিনি এখন মন্ত্রী। ২০১১সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর সেই মন্ত্রীই অবৈধভাবে পিয়ালী মুখার্জির ভর্তির সুপারিশ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তির জন্য ৫নম্বরে নাম থাকা সত্ত্বেও তালিকার ৪জনকে টপকে পিয়ালীকে ভর্তির সুপারিশ করেছিলেন ওই মন্ত্রী। এই নিয়ে তুমুল শোরগোলও হয় সে সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য যদিও সে নির্দেশ মানেননি। এছাড়াও যুবকল্যাণ দপ্তরে ক্রীড়া বিভাগে অস্থায়ী কাজেও নিযুক্ত হন পিয়ালী মুখার্জি।

গত দেড় বছর ধরেই রাজারহাটের নারায়ণপুর অঞ্চলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকতেন পিয়ালী মুখার্জি। সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিল এমনও জানা গেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের এই নেত্রীর আত্মহত্যার খবর এক তৃণমূল কর্মী দিয়েছেন তাঁর বর্ধমানের পরিবারের কাছে। ঘর বন্ধ থাকা সত্ত্বেও দরজা খোলার আগেভাগেই কী করে জানা গেলো আত্মঘাতী হয়েছেন পিয়ালী মুখার্জি ? পরে পুলিস দরজা ভেঙে পিয়ালী মুখার্জির মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিসের দাবি, সেখানে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। যদিও পিয়ালীর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের সেই সুইসাইড নোট দেখানো হয়নি। 

পিয়ালীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে কোন প্ররোচনা, অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে কি না এই নিয়ে তাঁর পরিবারের মধ্যেই ধোঁয়াশা আছে। তাঁদের দাবি পুলিস তদন্ত করে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করুক। তবে তৃণমূলের একাংশ নেতা, কর্মীর ধারণা পিয়ালী যদি আত্মঘাতীও হয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে প্ররোচিত করা হয়েছে। তাঁদের দাবি বিচারবিভাগীয় তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়বে। বর্ধমানের পড়শী ও পরিবারের একটির সূত্রেই জানা গেছে কলকাতা তাঁর একা থাকা এবং তৃণমূলের ঐ মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছিল।

তবে দলের এক নেত্রীর এভাবে মৃত্যুর ঘটনাতেও কেন তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় কোন নেতৃত্ব এলেন না সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে একাংশের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। বুধবার পিয়ালী মুখার্জির মরদেহ বর্ধমানে আনা হলে তাঁর একমাত্র মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। স্বামী ছিলেন নির্বাক। একজন তৃণমূল নেতা, নেত্রীকেও শেষকৃত্যে দেখা যায়নি। পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে।

2 comments:

  1. Madan Mitra arrested for his wrong doings.

    ReplyDelete
  2. Piyali was murdered by Madan. Madana taken this flat as rent from the owner who stays in Australia. Flat no B 908 at siddha pines. MADANA used to came here every week for enjoyment & several times found fully drunken. Siddha management means builder also was involved to get this flat for madna who is a real busted & criminal

    ReplyDelete