(CLICK ON CAPTION/LINK/POSTING BELOW TO ENLARGE & READ)

Sunday, April 28, 2013

CHIT FUND: চিট ফান্ডে সর্বস্বান্ত গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান|


চিট ফান্ডে সর্বস্বান্ত গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান|

নিজস্ব প্রতিনিধি,গণশক্তি

ডায়মন্ডহারবার, ২৭শে এপ্রিল –চিট ফান্ডে সর্বস্বান্ত গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাঁদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াইকে আরও শক্তিশালী গড়ে তুলতে হবে। শনিবার এই আহ্বান জানিয়েছেন সি পি আই (এম) দক্ষিণ ২৪পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী। ডায়মন্ডহারবার হাই স্কুলে পার্টিকর্মী- সমর্থকদের এক সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, গরিব মানুষের টাকা লুট হলো। এই টাকার বখরা নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রীরা। পরিবর্তনপন্থী বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরাও কোটি কোটি টাকা নিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে পুষ্ট করেছে চিট ফান্ড। তৃণমূল কংগ্রেস আর সারদা গোষ্ঠীর মধ্যে কোন ফারাক নেই। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বামফ্রন্টকে হটিয়েছে যাতে গরিব মানুষের টাকা লুট করতে পারে। তিনি বলেছেন, এই লুটের টাকার বখরা কোথায়, কোথায় কোন সম্পত্তি কেনা হয়েছে তা বের করতে হবে। ছবি বিক্রির ১কোটি ৮৬লক্ষ টাকাও মুখ্যমন্ত্রীকে ফেরত দিতে হবে। সব বের করতে হবে লুটের টাকার বখরা কারা কারা নিয়েছে। সভায় তিনি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সি পি আই (এম) নেতা ঋষি হালদার, সমর নাইয়া। সভা পরিচালনা করেন সুপ্রকাশ গুপ্ত। 

এদিকে, সি পি আই (এম) মগরাহাট জোনাল কমিটির ডাকে পঞ্চায়েত ও পৌরসভার নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে করার দাবিতে , তৃণমূল কংগ্রেসের নৈরাজ্য, সন্ত্রাসের প্রতিবাদে, চিট ফান্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলী সাংসদ-নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার বিশাল মিছিল বের হয়। উস্তি থেকে ঘোলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিক্রমা করে মিছিল। মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, দীপক দাস, বাসন্তী কয়াল, আবুল হাসনাতসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সুজন চক্রবর্তী বলেন, গ্রামে গ্রামে হাহাকার চলছে। দু’হাজার কোটি টাকা চিট ফান্ড সারদা গোষ্ঠী তুলেছে। আরও অনেক চিট ফান্ড সংস্থা রয়েছে। বামফ্রন্ট সরকার চিট ফান্ডের যে তদন্ত করছিল তৃণমূল ক্ষমতায় এসে তদন্ত ধামাচাপা দিয়েছে। গরিব মানুষের দরবারে এদের বিচার হতেই হবে। সার্বিক তদন্ত করতে হবে। ওরা বুঝে গেছে তাই পঞ্চায়েত, পৌরসভা নির্বাচন করতে চাইছে না। দু’বছরের মধ্যেই তৃণমূল সরকারের থেকে পরিত্রাণের রব উঠে গেছে। ওরা ভয় পাচ্ছে। আমরা বলছি নির্বাচন করতে হবে। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেই প্রতিবাদ আন্দোলন জোরদার গড়ে তুলতে হবে।

No comments:

Post a Comment