(CLICK ON CAPTION/LINK/POSTING BELOW TO ENLARGE & READ)

Friday, March 29, 2013

বিধবা ভাতা বৃদ্ধি থেকে পদোন্নতি, ভোটের মুখে সুবিধা ঘোষণায় প্রশ্ন

আনন্দবাজার পত্রিকা - রাজ্য

বর্ধমানের তৃণমূল ছাত্রনেত্রীর দেহ কলকাতার ফ্ল্যাটে

আনন্দবাজার পত্রিকা - কলকাতা

দিন নিয়ে আপত্তি, কমিশন অনড় কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রশ্নেও

আনন্দবাজার পত্রিকা - রাজ্য

PANCHAYAT ELECTIONS OF WEST BENGAL IN DOUBT


 কমিশনের জবাব

  আলোচনা না-করেই ফের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য
 সরকারের ঘোষিত দিনে ভোট করা সম্ভব নয় 
 প্রতিটি বুথেই লাগবে দুজন করে আধাসেনা 
 সেই জন্য ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই 
 মনোনয়নের পেশের দিন থেকেই চাই ৪০০ কোম্পানি


রাজ্যের মনোভাব

 কমিশনের দাবি কোনও অবস্থাতেই মানা হবে না 
 আধাসেনা দরকার নেই, ফের বললেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী 
 রাজ্য নিজের অধিকার প্রয়োগ করেছে, দাবি মুকুল রায়ের
 কমিশন অনড় থাকলে প্রশাসক বসানোর ভাবনা 
 প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি করে প্রশাসক নিয়োগ


বাজেট, ঘোষণা, প্রতিশ্রুতি এবং টোটকা চমক-ঠমক ইত্যাদি অনর্গল চলছে। এক বছরেই শতকরা ১০০ ভাগ প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী বারবার দাবি করেছেন।


উত্তর জানতে চাইলে বিপদ। তাতে ভাগ্যে জুটবে শিলাদিত্য চৌধুরীর মতো কোমরে দড়ি ও গরাদে আটক।

তৃণমূলের সন্ত্রাসের কবলে রাজ্যের অনেকগুলি অঞ্চল। কেন পুলিস ব্যবস্থা নিচ্ছে না দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে?

মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার শাস্তি যে কারাবাস তা রাজ্যবাসী দেখছে এখনকার তৃণমূল আমলে।

রাজ্যে কি বেকাররা চাকরি পাচ্ছে?


রাজ্যে কি বেকাররা চাকরি পাচ্ছে?

এরাজ্যে কি শিল্পে বিনিয়োগ বাড়ছে?

এই রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে কৃষক খেতমজুর আত্মহত্যার মিছিল কেন? কারা দায়ী?

পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য সরকার সততা ও সদিচ্ছা প্রমাণ করতে চাইলে বিরোধীদের দাবি ছাপিয়ে তিন দফায় কেন, পাঁচ-সাত দফায় নির্বাচন করুন। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি উঠছে যখন, বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভরিয়ে দিতে আপত্তি কোথায়?

হাজার হাজার ঘরছাড়াদের কেন ঘরে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলায় জেলায় বামপন্থী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা কেন? আরো সাজানো মামলার ফন্দি কেন? অর্থ ও বাহুবলের উপরই কেন ভরসা? ২০১১ সালের নির্বাচনে এতবড় ‘জয় করে তবু ভয় কেন তোর যায় না।’ কিসের ভয়? কাকে ভয়? অবশ্যই মানুষকে ও গণতন্ত্রকে।

হাসপাতালগুলি ধুঁকছে, ওষুধ নেই, সরঞ্জাম নেই, ডাক্তার-কর্মী নেই। কৃষকদের আত্মহত্যার পরিসংখ্যান ১০০ ছুঁতে চলেছে। গ্রামোন্নয়নের জন্য পঞ্চায়েতগুলির বরাদ্দ ছাঁটাই হয়েই চলেছে। জীর্ণতর পরীক্ষাগার উন্নয়নের কোনও ব্যবস্থা নেই। গরিব, শ্রমজীবী ও গ্রামের কৃষক-খেতমজুরদের অসহনীয় সমস্যা সুরাহার চেষ্টা নেই। এসব অগ্রাধিকারের বিষয়ে বাজেটে উল্লেখ পর্যন্ত নেই। কেন ?


এই অর্থমন্ত্রী ৩০ বছর ধরে বড় বড় কোম্পানি ও কর্পোরেটদের সেবায় নিযুক্ত ছিলেন। সেই ধাঁচে ও সেই নীতিতে গড়া অর্থমন্ত্রীর গোটা বাজেটে যা আয় ধরা হয়েছে, তার চারগুণ খরচ ধরা হয়েছে।

কর্মসংস্থান দিতে পারে এমন বৃহৎ শিল্প গড়তে সর্বাত্মক বাধা তৃণমূল কংগ্রেসের। এই সত্য কথাটুকু বেফাঁস বলে ফেলে উপদেষ্টার চাকরি খোয়ালেন এক তৃণমূল নেতা ও সাংসদ। কারণ রাজ্যজুড়ে তেলেভাজার দোকানের হঠাৎ রমরমা ব্যবসা এবং বিরাটত্ব তাঁর চোখ এড়িয়ে গেছে।


কর্মসংস্থান দিতে পারে এমন বৃহৎ শিল্প গড়তে সর্বাত্মক বাধা তৃণমূল কংগ্রেসেরএই সত্য কথাটুকু বেফাঁস বলে ফেলে উপদেষ্টার চাকরি খোয়ালেন এক তৃণমূল নেতা ও সাংসদকারণ রাজ্যজুড়ে তেলেভাজার দোকানের হঠাৎ রমরমা ব্যবসা এবং বিরাটত্ব তাঁর চোখ এড়িয়ে গেছে


মাসে এ রাজ্যে ১০ লক্ষ ২৪ হাজার নতুন চাকরি বা কর্মসংস্থান হয়েছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ ধরলে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। আগামী ১২ মাসে ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার কর্মসংস্থান হবে।’ এটা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বাজেট ঘোষণা।

১৯৯৮ সালে কেন্দ্রে বি জে পি সরকারের দোসর হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই সরকার বছরে ১ কোটি যুবকের চাকরি বা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে ঘোষণা করেছিল। বি জে পি পরিচালিত সরকারের ছ’বছরে চাকরি পাওয়া ওই ৬ কোটি যুবকের কোনও হদিশ নেই। তারা কীভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে গেল? আজও উত্তর মেলেনি।

No rural polls without central forces in Kolkata - Hindustan Times

No rural polls without central forces in Kolkata - Hindustan Times

Big industries losing charm in Mamata's debt-ridden West Bengal : North, News - India Today

Big industries losing charm in Mamata's debt-ridden West Bengal : North, News - India Today


Ace shooter assaulted by eve-teasers in Kolkata - Indian Express

Ace shooter assaulted by eve-teasers in Kolkata - Indian Express


Letter war: Govt has too many queries to answer in Kolkata - Hindustan Times

Letter war: Govt has too many queries to answer in Kolkata - Hindustan Times


Kolkata Panchayat Polls: State blinks, but imbroglio far from over - Hindustan Times

Kolkata Panchayat Polls: State blinks, but imbroglio far from over - Hindustan Times


UPA'S SURVIVAL WILL NOW DEPEND ON OUTSIDE SUPPORT: CPI-M


UPA'S SURVIVAL WILL NOW DEPEND ON OUTSIDE SUPPORT:    CPI-M

PTI

                New Delhi, Mar 28 : The political excitement over new alliances and coalitions a year before the scheduled general elections is a result of the "growing uncertainty" of the UPA government that has been reduced to a minority, the CPI(M) said today.

                Though there was nothing unusual in the talk of new alliances and excitement over it in the run-up to general elections, it said with nearly a year left for the 2014 elections, "such excitement seems to have begun early mainly due to the growing uncertainty of the UPA-II alliance."

                "This government was already reduced to a minority when the Trinamool Congress withdrew support. With the DMK now doing so, it has been reduced to a further minority government. Its survival will now increasingly depend on the outside support that it garners from the Samajwadi Party and the Bahujan Samaj Party," senior party leader Sitaram Yechury said in an editorial in the latest 'People's Democracy'.

                He said it was now "amply clear that such outside support is managed for the survival of the government either through enticements or threats".

                Observing that the SP has started talking about a 'third front' despite continuing to support the UPA-II coalition, Yechury said this was due to pressures from its own political base over issues like price rise and agrarian distress.

                "The reason why parties like the SP, that continue to bail out this UPA government, talk in terms of a third front is precisely because there is pressure from its own political and social base for a change that will provide people some relief from their present miserable conditions of existence."

                Maintaining that the economic slowdown, relentless price and deepening agrarian distress were "all combining to mount unprecedented agonies on the people", he said, "The people's cries for relief and a better livelihood find such political expressions of a 'third front' government."

                Hence, "the cost of such enticements to garner support for any vote in Parliament will also rise", Yechury said.

                "The much-needed relief which the people are hoping will not come merely from a non-Congress non-BJP government. Relief can only come through alternate policies. What the people require, therefore, is not merely an alternate government but a government that can implement an alternate pro-people policy direction," he said.

RESOLUTION OF THE TAMILNADU STATE SECRETARIAT OF THE CPI(M)


RESOLUTION OF THE TAMILNADU STATE SECRETARIAT OF THE CPI(M)

From India News Network (INN)

New Delhi, March 28: We are herewith releasing a Resolution adopted by the Tamilnadu State Secretariat of CPI(M) on the Sri Lankan issue, in the wake of a Resolution passed by the Tamilnadu State Legislature.
 
 The Tamil Nadu State Secretariat of the CPI(M) is of the view that the resolution passed by the Tamil Nadu Legislative Assembly on the issue of Sri Lankan Tamils today (March 27, 2013) has been passed without taking into account the ground realities facing Sri Lankan Tamils.
 
Even though four years have passed since the end of the war between the Liberation Tigers and the Sri Lankan armed forces, the Sri Lankan government has not found a solution to the issue of Sri Lankan Tamils.
 
The war crimes committed by the Sri Lankan armed forces against the Sri Lankan Tamils in the final stages of the war and the violations of human rights have had severe consequences. Forty thousand innocent Tamils have been killed in the final stages of the war. It causes great distress that the trials and tribulations faced by Sri Lankan Tamils continue without end.
 
The CPI (M) urged in 2009 itself when the war between the LTTE and the SriLankan Armed Forces reached its peak that the United Nations and the government of India must intervene to stop the war, make efforts to devolve powers in Sri Lanka through negotiations between the Sri Lankan government and the LTTE and prevent the deaths of innocent people trapped in the war zone.
 
From the beginning, the CPI(M) has continuously insisted that armed conflict will not solve the ethnic issue in Sri Lanka, that the Northern and Eastern provinces (of Sri Lanka) where Tamils live must be merged and given greater autonomy and that the Tamils and the Tamil language  must receive equal treatment in Sri Lanka at all levels. It has also urged that both as a member of SAARC and as a neighbour, India must intervene diplomatically to help find a political solution to the question of Sri Lankan Tamils.
 
The immediate need of Tamils affected by the war is that of ensuring basic livelihood and guarantee of rehabilitation. Along with the withdrawal of armed forces from areas where Tamils live to create a democratic atmosphere, Sinhalisation should be stopped. A political solution and devolution alone will enable Tamils to live on a basis of equality with the Sinhalese people. No other proposed solution will help put an end to the travails of the Sri Lankan Tamils.
 
Demanding a referendum on the demand for a separate Eelam or announcing that Sri Lanka is not to be regarded as a friendly country will not only not help solve the Sri Lankan Tamils issue. It will in fact complicate the issue further.
 
The immediate task before us today is not to demand an international inquiry into the war crimes committed by the Sri Lankan armed forces. Instead, we must make the Sri Lankan government agree to conduct a credible inquiry by an international panel of judges and punish those found guilty. We must raise our powerful and united voice urging upon India and the United Nations to put pressure on the Sri Lankan government to grant maximum autonomy including devolution of powers to Sri Lankan Tamils.
 
The CPI(M) shares the feelings underlying the struggles conducted by students in Tamil Nadu for several days now condemning the atrocities against Sri Lankan Tamils and urging devolution of powers. In view of the fact that all democratic forces in Tamil Nadu and the people of the state have raised their united voice in support of Sri Lankan Tamils, the CPI(M) appeals to the students to end their agitations and pay attention to their curricular tasks.

LEFT PARTIES CALL FOR AP BANDH ON APRIL 9


LEFT PARTIES CALL FOR AP BANDH ON APRIL 9

From India News Network (INN)

Hyderabad: March 27, 2013 : The ten Left parties in Andhra Pradesh have called for a statewide bandh on April 9 on power issue as part of the second phase of its ongoing movement. Prior to the bandh, on April 1, there would be mass relay hunger strikes at all mandal and district headquarters in the state demanding stoppage of power tariff hike, abolition of private merchant power plants policy and Fuel Surcharge Adjustment.They appealed to other opposition parties and people to come forward and make the bandh a big success in order to force the government to relent.
 
These decisions were taken at a meeting of the ten Left parties held at the state headquarters of CPI, Maqdoom Bhavan today after the leaders withdrew the indefinite hunger strike. B V Raghavulu and Y Venkateshwara Rao from CPI(M), K  Narayana and Aziz Pasha from CPI, P Prasad from CPI(ML), Janakiramulu from RSP, B Surender Reddy from Forward Bloc and others attended the meeting that was chaired by G Vijay Kumar of CPI(ML).
 
It may be noted the police had forcibly shifted the fasting Left leaders from the hunger strike camp to Gandhi hospital on Tuesday night. The Left leaders strongly condemned the brutal behaviour of the police while swooping down on the hunger strike camp.
 
After noting that the first phase of agitation by Left parties has been successful, the leaders deliberated for over two hours on the future course of action. They asserted that this struggle will be intensified in the coming days. Later the leaders visited the indefinite hunger strike camp of TDP legislators in MLA Quarters and expressed solidarity. They said the Left parties would support any such agitation by any political party on this important issue.

In a setback for Rajya Sabha Deputy Chairman Prof. P J Kurien, a court in Kerala today issued notice to him on a criminal revision petition filed by the Suriyanelli rape victim.


SURIYANELLI RAPE CASE: KERALA COURT ISSUES NOTICE TO KURIEN

N.S.Sajith

Thiruavanathapuram; March 27, 2013:  In a setback for Rajya Sabha Deputy Chairman Prof. P J Kurien, a court in Kerala today issued notice to him on a criminal revision petition filed by the Suriyanelli rape victim.

 Abraham Mathew, Thodupuzha sessions court Judge, , admitted the plea and issued notices to Dharmarajan, a prime accused in the case, the state government and two other accused Jamal and Unnikrishnan.

    The petition has been posted to May 29.  The court said Dharmarajan, who is presently lodged at Thiruvananthapuram central jail, should also be produced in court on May 29.

    The petition was filed by the victim challenging the dismissal of her earlier complaint filed before the Peermedu Judicial First Class Magistrate court seeking further investigation into the 'involvement' of Kurien in the case.

    The victim's advocates also produced before the court the 'revelations' made by Dharmarajan to a television channel shortly before his arrest recently after he had jumped bail, that he had escorted Kurien to a guesthouse on Feb 19, 1996 where the girl was allegedly sexually exploited.

    The victim had filed a complaint before the Peermedu court on March one this year against Kurien on the basis of Dharmarjan's revelations.

    She had last month filed a complaint in a police station at Kottayam against Kurien, seeking that he be made an accused in the case. That complaint was not registered.

     The case relates to the victim hailing from Suryanelli in Idukki district of Kerala being abducted in January 1996 and transported to various places and sexually exploited by over 40 persons. Though she had named Kurien as one among those who had exploited her, he was not made an accused in the case.

 The Suriyanelli case once again came into the limelight after the apex court recently stayed the Kerala High court judgement of 2005 acquitting 35 accused in the case and asked them to surrender before the special court. The apex court had also stayed the High Court judgement reducing the life term awarded to Dharmarajan.

    Dharmarajan, who had jumped bail, was recently arrested from Karnataka and sent to jail to undergo the rest of his prison term. Kurien has maintained that he had been cleared of the charges by the apex court.
    Following the Supreme court order, the victim had also sent a letter to her advocate seeking to explore the possibility of filing a review plea in the apex court seeking a fresh probe against Kurien.

    The victim had filed a petition in the High Court seeking to appoint two special prosecutors to conduct the case. The petition has been posted to April 2 for hearing the government's views.

    She had submitted that the Director General of Prosecutions (DGP) had given her 'adverse' legal advice in her complaint against Kurien and that she would be 'greatly Prejudiced' if he conducts her case.

KANNUR PREPARES TO MAKE CITU CONFERENCE A GRAND SUCCESS


KANNUR PREPARES TO MAKE CITU CONFERENCE A GRAND SUCCESS

PTI

Kannur : Kannur, the land of enthusiastic struggles and the cradle of peasant and workers movements is poised to make CITU all India Conference a grand success. Lakhs of workers all over the southern district of Kerala are burning midnight oil to create a history by making the conference a memorable one. The conference will commence on April 4th and culminates on 8th with a massive rally of two lakhs people. Receiving an impetus from the historic two days All India strike held in February and end number of unending struggles against the neo liberal policies of UPA government, the working class movement of the state has been made a huge preparations to mark a new chapter in the history of working class movement in India.

Months long preparations in the district is at the epitome these days. 

This is the third time, the all India Conference of the largest Trade Union of India visits Kerala. Kochi, the commerce and Industiral capital of Kerala was the venue of previous All India Conferences held in 1973 and 1997.

Kannur, the land of textile and Beedi industries played an active role in the formative years trade union movement of Kerala. The trade unions formed in the textile mills Aron Mill and various Beedi making units was the back born of democratic forces in the state. In forties trade union movement simultaneously developed along with the peasant movement in the massive nationalistic struggles against the British colonial rule.

The people of Kannur are enthusiastically and wholeheartedly received the call of CITU for a district wide preparatory programs. The whole district is literally turned in to a see of red.

Elamaram Kareem, general secretary of CITU state Committee and K P Sahadevan General Convener of Reception committee says that the preparations for the conference are highly innovative. The programs attended by the retired workers were organized in 200 centers of the districts. Thirty thousand retired workers were attended in these programs. Organizing committees from district level to ward level, have been were formed. 17 seminars in various subjects were organized in the run up to the conference. Leader from various trade unions attended in these seminars. An exhibition portrays the history of TU movement in Kerala was inaugurated by Film Artist Kalabhavan Mani on 28th March. Various sports and cultural events were also organized in the different parts of the district. Small jathas, heralding the message of conference are also being organized.

In the inaugural session apart from CITU leaders, the leader from AITUC, INTUC, BMS, HMS, UTUC will take part, they said.

HIROSHIMA UPDATES NUMBER OF ATOMIC BOMB VICTIMS


HIROSHIMA UPDATES NUMBER OF ATOMIC BOMB VICTIMS

PTI

                Tokyo, Mar 28 : The number of victims of the 1945 atomic bombing of the Japanese city of Hiroshima has climbed up a notch to 557,478 - 15,000 more than the previously recorded figure, according to a new report.

                The total number of the explosion-affected people or "hibakusha" from the Second World War atomic bombing by the US is more than 15,000 people recorded in the previous file, according to research conducted by the city government.

                Based on a fresh review of 120,000 documents which was undertaken by computer for the first time, the number of atomic bomb victims has grown by around 15,000 compared with the previous tally 14 years ago, the data showed, Kyodo News agency reported.

                Of the latest figure, 384,743 hibakusha were confirmed to have been in the city or nearby towns and villages when the Atomic bomb was dropped in 1945, up by around 12,000 from the previous survey.

                The remainder includes people who later entered areas near ground zero and those who lacked sufficient information about their whereabouts.

                After eliminating duplications, the death toll from the bombing was lowered to 277,996, from the previously reported 280,959, the report said.

                The study will most likely be the last one because 68 years have passed since the bombing and it is unlikely that any new documents will be discovered, an official suggested.

PORTUGUESE PROTEST AGAINST HIGH UNEMPLOYMENT RATES, JOB INSECURITY2013-03-28


PORTUGUESE PROTEST AGAINST HIGH UNEMPLOYMENT RATES, JOB INSECURITY2013-03-28

Hundreds of Portuguese unemployed workers and union members have demonstrated in the capital Lisbon to protest against high unemployment and job insecurity in the country.

Wednesday demonstration, which also marked Youth Day, was called by the youth section of the largest Portuguese union, the General Confederation of the Portuguese Workers (CGTP), The Associated Press reported.

The protestors -- carrying banners, reading, "We want work. We demand our rights” -- said they were opposed to the harsh austerity measures, which the government started imposing in 2011 in return for 78 billion euros from the European Union (EU), the European Central Bank (ECB), and the International Monetary Fund (IMF) to avoid bankruptcy.

Demonstrators said the recession was caused by the government’s imposition of tax hikes and spending cuts required by the bailout deal.
"All the protests have the same objective, for us to be heard, to change things. We won't shut up until we achieve that," said 27-year-old nurse Joana Teixeiras.

The Portuguese government is bracing for a record 18.2 percent jobless rate this year, up from last year’s 16.9 percent.

The cash-strapped eurozone country is grappling with its worst recession since the 1970s.

Battered by the global financial downturn, the Portuguese economy fell into a recession, which compelled the country to negotiate with the 'troika' of IMF, EU, and ECB for a bailout loan in 2011.

Courtesy: Ganashakti

মনবোধ মউআর ও সামনের দীর্ঘস্থায়ী লড়াই


GANASHAKTI

মনবোধ মউআর ও সামনের দীর্ঘস্থায়ী লড়াই

অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

‘দেখনেওয়ালা’ চুপ করে থাকার জন্যই ‘করনেওয়ালা’ সাহসী হয়। কেউ অনৈতিক কাজ করলে দশজনে যদি তার কান মুলে দেয় তাহলে কেউ আর অনৈতিক কাজ করবে না।

এই সহজ কথাটি সাহসের সঙ্গে বলতেন মহারাজগঞ্জের মনবোধ মউআর।

মনবোধ মউআর এক গ্রাম্য বৃদ্ধ কৃষক। ঘন শ্যামবর্ণ তাগড়া স্বাস্থ্য। ঘাড়টা মোটা, চ্যাপ্টা হাত পা। গলার শিরাগুলো ফুটে উঠেছে। টান টান মুখ, পাথরের মতো শক্ত। বোঝা যায় যৌবনে পালোয়ানি করতেন।

গ্রামের ভিতরে যেখানে যা কিছু অন্যায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটাই ছিল তাঁর স্বভাব। বিশেষ করে তাঁর গ্রামে বিভিন্ন সংসারের ভিতরে ও সমাজের বাইরে মহিলাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনিই মুখ খুলতেন। আর এই মুখ খোলার জন্যই গোটা গ্রাম যেন তাঁর শত্রু। গ্রামের হাজারটা অন্যায় সবাই দেখছে, কেউ কেউ বুঝছে কিন্তু কেউ ঝামেলায় যেতে চায় না। বরং মনবোধ মউআরকেই সকলে যত অশান্তির মূল বলে মনে করে। গ্রামের হুজ্জোৎ এসে পড়ে মউআরের পরিবারের উপরেও। কিন্তু তবু মউআর শুধু আর ‘দেখনেওয়ালা’ হয়ে থাকতে রাজি নন।

মনবোধ মউআর কোনও সত্যিকারের মানুষ নন। একটি গল্পেরই প্রধান চরিত্র। গল্পের নামই ‘মনবোধ মউআর’। লেখক মিথিলেশ্বর।

হিন্দি গদ্যসাহিত্যে সমাজ বাস্তবতার যে সূচনা একদা প্রেমচন্দ্‌ এবং সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী ‘নিরালা’ সূচিত করেছিলেন, তাঁদের সেই ধারাটিকে পরবর্তী সময়ে প্রসারিত করেছিলেন রাহুল সাংকৃত্যায়ন, রাঙ্গেয় রাঘব, নার্গাজুন, ফনীশ্বরনাথ রেণু, যশপাল প্রমুখ। তাঁদেরই উত্তাধিকার বহন করে চলেছেন মিথিলেশ্বর। যাঁর রচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু গ্রামীণ ভারতবর্ষের প্রান্তিক জনসমাজ।

মিথিলেশ্বরের হিন্দি গল্প সংকলনের বাংলা অনুবাদ ‘স্ত্রী-জন্ম ও অন্যান্য গল্প’ পড়ার সুযোগ হলো সম্প্রতি। অনুবাদক সমর চন্দ। প্রকাশক ‘প্রথমত’। কার্যত একক উদ্যোগেই দীর্ঘদিন ধরে হিন্দি সাহিত্যের প্রগতিশীল ধারার গল্প-উপন্যাস বাংলায় অনুবাদ করে চলেছেন সমর চন্দ।

পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল, কোথায় আছি আমরা? আমাদের এই ভারতের গ্রামে আজ‍‌ও মনে করা হয় 

‘জাহু হম জনিতী ধিয়ওরা কোঁখীরে জনমিহে।

পিহি‍‌‍‌গেঁ মে মরিচ করাই রে। 

মরিচ কে ঝাকে-ঝুকে ধিয়ওরা মরি জাইতি,

ছুটি জাইতে গরুওয়া সন্তাপ রে।’

যদি জানতাম আমার গর্ভে কন্যা জন্মাবে,

তাহলে মরিচ ঝরিয়ে খেতাম। মরিচের

ঝাঁঝে কন্যা মারা যেত। গভীর সন্তাপ দূর হতো।

(ভোজপুরী লোকগীতি/স্ত্রী জন্ম)

গল্পগুলির কাঠামো অন্যরকম। অনেকটা সাংবাদিকতা-সুলভ সহজ বর্ণনার কাঠামো। ভাষার পরীক্ষা-নিরীক্ষা নেই। গল্পের মোচড়ও নেই সর্বত্র। কিন্তু যে নির্মম বাস্তবকে তিনি তুলে ধরেন তা পাঠককে চমকে দেয়। বিশেষ করে মহিলাদের উপর সামন্ততান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার তাঁর কলম। প্রশ্ন জাগে কোথায় দাঁড়িয়ে আছি আমরা? 

পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিল এসব গল্প ক’জন পড়েন? পড়ার পরও সমাজের পরিবর্তনই বা হচ্ছে কই?

এই নিয়েই কথা হচ্ছিল এক প্রবীণ সহকর্মীর সঙ্গে। তিনি বলেছিলেন, সামন্ততান্ত্রিক শোষণ-শাসন নির্মূল করাটা শুধু গল্পকার-ঔপন্যাসিকদের একার কাজ নয়। তারজন্য দরকার বিরাট-ব্যাপক প্রত্যক্ষ লড়াই। সেই লড়াইয়ে অবশ্যই এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার প্রেমচন্দ্‌ , শরৎচন্দ্রেরা। আর সামন্ততন্ত্রের আর্থিক ভিত্তি ভেঙে দুর্বল হয়ে গেলেও তার মূল্যবোধ সহজে যায় না। সেই মূল্যবোধের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হয় অবিরত। আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গে জমিদারি, জোতদারি ব্যবস্থা আর নেই। কিন্তু সামন্ততান্ত্রিক মূল্যবোধকে কি আমরা নির্মূল করতে পেরেছি? তাই যদি হতো তাহলে কেন এখনও এত মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়? কেন হয় বধূ হত্যা? কেন এরাজ্যে এখনও ডাইনি অপবাদে খুন করা হয়? তিনিই বলছি‍‌লেন, কী হবে গল্প লিখে, কী হবে প্রবন্ধ লিখে, কী হবে ফিচার লিখে এসব মনের মধ্যে কখনও স্থান দেবেন না। গজেন মিত্রের ‘কলকাতার কাছেই’ উপন্যাসের কি কোনই প্রভাব নেই আমাদের সমাজে? আশাপূর্ণা দেবীর ‘প্রথম প্রতিশ্রুতি’ অথবা ‘সুবর্ণলতা’ পড়ে কি একটাও সুবর্ণলতা তৈরি হয়নি মনে করছেন? বিস্তীর্ণ হিন্দি বলয়ে কোথাও যদি সামন্ততান্ত্রিক সমাজ শোষণের বিরুদ্ধে, মহাজনী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এতটুকু লড়াই হয় তবে জানবেন তার পিছনে কোথাও না কোথাও কোনভাবে মুন্‌শী প্রেমচন্দ্‌ আছেনই। 

আমরা যারা একটু আধটু বামপন্থী সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত আছি তাদের মনের মধ্যেও এ প্রশ্ন বারে বারে উঁকি দেয়, কী হবে লিখে? পড়ছে ক’জন? সমাজটাই বা বদলাচ্ছে কোথায়? বহু মানুষের মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। তাদের দুঃখ যন্ত্রণার কথা সাধ্যমত লিখছিও। সেই অগণিত মানুষের ভীড়ে কোন একজনের কথা হয়ত আর আলাদা করে মনেও থাকে না। যাঁদের কথা লিখছি তাঁরা যদি বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা বা অন্ধ্রপ্রদেশের কেউ হন তবে তো আমার গণশক্তিতে প্রকাশিত লেখা পড়ার কোন সুযোগই নেই। এমনও মনে হয় এসব লেখালিখি ছেড়ে তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়াই। পরমুহূর্তেই বুঝি তাঁদের পাশে লড়াই করার মানুষ আছেন। আরো মানুষ আসবেন। তাঁদের কাছে লড়াইয়ের বাতা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের কাজ।

এই তো দেশজুড়ে সংগঠিত হলো জাঠা। আগামীদিনে বড় লড়াই হবে। সেই লড়াইয়ের আগাম বার্তা দিতে সি পি আই (এম)-র উদ্যোগে জাঠা প্রায় গোটা দেশই ছুঁয়ে গেল। দিল্লির রামলীলা ময়দানে হলো বিরাট সমাবেশ। সর্বভারতীয় খবরের কাগজ বা টেলিভিশন চ্যানেল এ খবরকে চেপে গেছে। আমাদের এই পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেলও উপেক্ষা করেছে।

অতএব ভরসা সেই গণশক্তি। নিজেরাই নিজেদের ঢাক পেটাতে চাই না। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গণশক্তির প্রতিবেদকরা এই পরিক্রমার দীর্ঘ সময় ধরে গোটা দেশের খেটেখাওয়া ভারতবাসীর দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা তুলে ধরলেন তা কি একেবারেই বৃথা যাবে? তাঁদের প্রতিবেদন থেকেই তো জানা গেল অনুপগড়ের জলের জন্য সংগ্রামের কাহিনী, বিহারের নওয়াদা জেলার দোনা পঞ্চায়েতের ডকনাপুর গ্রামের কৃষক রামসাগর রামের দাবি, গোয়ালিয়রের রাজনীতিতে রাজবংশের দাপট ভাঙার লড়াই, লহেরিয়াসরাইয়ের ঝুপড়িবাসীর জীবন, হনুমানগড়ে ধান আবাদী জেলার জন্য লড়াই, কালাহান্ডি থেকে রামলীলা ময়দানে আসা মানুষ, তামিলনাডুর বস্ত্রশিল্পের শ্রমিক জীবনের যন্ত্রণা। 

অনেকে বলবেন সি পি আই (এম)-র কর্মসূচী অতএব, সি পি আই (এম)-র মুখপত্রে তা বিস্তারিত লেখা হবে এতে আর বলার কি আছে?

কিন্তু যে দাবি নিয়ে এই জাঠা তা সি পি আই (এম) উত্থাপন করলেও তা কি জনসাধারণের, জ্বলন্ত সমস্যাগুলির ন্যায্য দাবি নয়? জমি ও বাস্তভিটার অধিকার, খাদ্যের অধিকার, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অধিকার, স্বাস্থ্যের অধিকার, সামাজিক সুবিচারের অধিকার এবং বল্গাহীন দুর্নীতি বন্ধ করার দাবিগুলি কি জনগণের দাবি নয়? এই জাঠা থেকে কি দাবি ওঠেনি মহিলাদের উপর অত্যাচার বন্ধ কর, সংসদে মহিলাদের জন্য এক তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ কর?

দেশের মানুষ তো প্রত্যক্ষ করলেন ভোটের প্রয়োজন ছাড়াই গরিব ও প্রান্তিক মানুষদের দাবি নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছে একটা পার্টি। তার নাম সি পি আই (এম)। প্রকাশ কারাত থেকে সীতারাম ইয়েচুরি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বার বার বলেছেন, এই জাঠার সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে বিকল্প পথের রাস্তা তৈরি করতে চাই। লড়াইয়ের ময়দানেই সে বিকল্প তৈরি হবে। 

আগামীদিনে আ‍‌রো বড় লড়াই শুরু হবে। সমাজের পরিবর্তন কোন দৈব-নির্দিষ্ট অবধারিত ভবিতব্য নয়। সচেতন সক্রিয় উদ্যোগেই সমাজের পরিবর্তন আনতে হয়। এ অনেক দীর্ঘস্থায়ী লড়াই। কঠিন লড়াই। সংসদের ভিতরে লড়াই, সংসদের বাইরে লড়াই আঘাত দিলে আঘাত আসবে। রক্ত ঝরবে। দুর্বল হৃদয়ের জায়গা নেই এখানে। এতে সাফল্য আসবে ব্যর্থতা আসবে। আবার ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন লড়াই শুরু হবে। কেবলমাত্র ভোটবাক্সের নিরিখে এ লড়াইয়ের সাফল্য ব্যর্থতার হিসেব-নিকেশ করলে ভুল হবে।

অনেক মনবোধ মউআরেরা আছেন আমাদের চারপাশে। তাঁদের পাশে টানার কাজে এখন।


অভি‍‌যোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গরিবের বাড়ি সংস্কারের টাকা আত্মসাৎ পুরুলিয়ায়|


অভি‍‌যোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গরিবের বাড়ি সংস্কারের টাকা আত্মসাৎ পুরুলিয়ায়|

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া, ২৮শে মার্চ — জল থেকে রাস্তা, বস্তি উন্নয়ন থেকে হোর্ডিং সবেতেই তৃণমূল পরিচালিত পুরুলিয়া পৌরসভার দুর্নীতি। কেউ কাউকে মানেন না — কারুর কথা কেউ শোনেন না, সহস্রাধিক অস্থায়ী কর্মী বেতন পান না — অথচ কাউন্সিলারদের জন্য দামী ট্রলিব্যাগ কেনা হয় পৌরসভা থেকে। গরিব বস্তিবাসীর গৃহনির্মাণ না করেই কাউন্সিলার-ঠিকাদার যোগসাজশে বহু টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলো এক তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। চেয়ারম্যান তারকেশ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, সমগ্র বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সি পি আই (এম) পুরুলিয়া শহর জোনাল সম্পাদক কৌশিক মজুমদার জানিয়েছেন, পৌরসভার দুর্নীতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, একেবারে গরিব মানুষের পেটেও লাথি মারা হচ্ছে। নীতি-নৈতিকতাহীন দলের সদস্যরাই এমন কাজ করতে পারে। একটার পর একটা দুর্নীতি হচ্ছে, প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেন তিনি।

গত বছর বর্ষার সময় পুরুলিয়া শহরের বস্তি এলাকার বেশ কিছু মাটির বাড়ি বসবাসের অযোগ্য হয়ে গিয়েছিল। বি পি এল তালিকাভুক্ত সেইসব গরিব বস্তিবাসীদের বাড়ি তৈরি ও সংস্কারের জন্য বাড়ি পিছু ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রতি ওয়ার্ডে তিনটি করে বাড়ি চিহ্নিতও করা হয়েছিল। সেই বাড়ি নির্মাণ ও সংস্কার নিয়েই পুরুলিয়া শহরের ৭নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে উঠছে দুর্নীতির অভিযোগ। বাড়ি তৈরি বা সংস্কার না করেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিবেস দাস, শ্যামল দে ও ছায়া পাণ্ডের বাড়ি সংস্কারের জন্য অর্থমঞ্জুর করা হয়েছিল। শ্যামল দে ও ছায়া পাণ্ডের বাড়ির আংশিক কাজ হলেও শিবেস দাসের বাড়ির কোনও কাজ হয়নি। অথচ বাড়ি না করেই ঠিকাদারকে শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল কাউন্সিলার গীতা মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযুক্ত কাউন্সিলার অস্বীকার করেছেন সেই অভিযোগ। কিন্তু ঘর যে হয়নি একথা সত্য। কংগ্রেস কাউন্সিলার বিভাস দাস বলেছেন, জেলা প্রশাসনকে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়েছে।

পৃথক দুর্ঘটনায় মৃত ৪

নিজস্ব সংবাদদাতা : পুরুলিয়া, ২৮শে মার্চ — বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দোলের উৎসবের মধ্যে ৪টি পৃথক পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো চারজনের। বৃহস্পতিবার দুপুরে হুড়া থানার বাউরিডি গ্রামের অদূরে হোলি খেলে বাড়ি ফেরার সময় মোটর সাইকেল উলটে গেলে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। মৃতের নাম সাণ্ডা কর্মকার। বাড়ি বোকারো জেলার মিদ্দা গ্রামে। মোটর সাইকেলে থাকা অপর আরোহী গুরুতর জখম অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি।

বুধবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়া-জামশেদপুর জাতীয় সড়কে মোটর সাইকেলের ধাক্কায় মারা যান অয়ন মাহাত (১৭) নামে এক কিশোর। বাড়ি মফঃস্বল থানার টামনা গ্রামে। ঐ একই দিন রাতে রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া সড়কে হাঁসডিমা গ্রামের কাছে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি জে সি বি গাড়িকে ধাক্কা মারে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি মোটর সাইকেল। ঘটনাস্থলেই মারা যান মোটর সাইকেল আরোহী দীপক মণ্ডল (৩০)। বাড়ি রঘুনাথপুর শহরে। বুধবার রাতেই আরশা থানার বেলডি গ্রামের কাছে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মারা যান মানিক গোপ (২২) নামে এক যুবক। মৃত যুবক বেলডি গ্রামের বাসিন্দা। পুলিস ঘাতক ট্রাক্টর ও তার চালককে আটক করেছে।

ভোটের মুখে পঞ্চায়েত কর্মীদের পদোন্নতি, বেতনবৃদ্ধির ঘোষণা|


GANASHAKTI

ভোটের মুখে পঞ্চায়েত কর্মীদের পদোন্নতি, বেতনবৃদ্ধির ঘোষণা|

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ২৮শে মার্চ— হঠাৎ করেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত কর্মীদের পদোন্নতি, বেতন কাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর ঘোষণা করলো রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দোরগোড়ায় এভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ঘোষণায় বিস্মিত সরকারী অন্যান্য দপ্তরের কর্মচারীরা। এখনই এই পাইয়ে দেওয়ার ঘোষণা কী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত? উত্তরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি বলেন, সরাকার তো একটা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছে। যা কিছু ঘোষণা হবে সেখানে রাজনীতি থাকতে পারে। এদিন পঞ্চায়েত মন্ত্রী বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করেছেন। বামফ্রন্টের আমলে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতার প্রকল্প চালু হয়েছিল। তৃণমূল রাজ্য সরকারের ২২মাসেই এই প্রকল্প কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে আবার নতুন করে ভাতাবৃদ্ধির ঘোষণাকে গরিব মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৃহস্পতিবার সরকার ভাতা বৃদ্ধির যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে তা কার্যকরী হবে ২০১২সালের অক্টোবর মাস থেকে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্য ২০১২সালের জানুয়ারি মাস থেকেই এই প্রক্ল্প বন্ধ হয়ে রয়েছে। গুটিকয়েক মানুষের কাছে এখন এই ভাতার টাকা এখন পৌঁছয়। বি পি এল কার্ড আছে এমন মানুষের ভাতার পরিমাণ ৪০০টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০টাকা করা হলেও ৬০থেকে ৭৯বছর বয়স্ক মানুষের ভাতার পরিমাণ ৪০০টাকাই রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের বড় অংশের অনুদান থেকেই এই প্রকল্প চলে। গত এক বছরে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা এলেও এরাজ্যের গরিব বৃদ্ধ এবং বিধবারা তাঁদের ভাতার টাকা পাননি।

এদিন পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানিয়েছেন, ১১টি ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত কর্মীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি হবে। যেমন জেলা পরিষদের সহকারী বাস্তুকারের ২০শতাংশ পদপূরণ করা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কদের মধ্যে থেকেই এই পদে নিয়োগ হবে। বলা হয়েছে রাজ্যের ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতির জন্য ৩৪১টি অ্যাকাউন্টেন্ট পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির উপ-সচিব অথবা ক্যাশিয়ার কাম স্টোরকিপারদের থেকে এই পদগুলিতে নিয়োগ হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব এবং কর্ম সহায়কদের পদ থেকে সংরক্ষণের হার ২৫শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন পদে পদোন্নতির ঘোষণা এদিন করা হয়েছে। নতুন করে শূন্য পদে নিয়োগের কথা নেই। পঞ্চায়েতের যে পরিকাঠামো ছিল সেখান থেকেই কর্মী নিয়ে পঞ্চায়েতের নতুন পদে বসিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। নির্বাচনের ঠিক আগেই এই ঘোষণায় বিভিন্ন মহল সরকারের পাইয়ে দেওয়া রাজনীতির নিকৃষ্ট উদাহরণ বলে মনে করছে।

নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হলে দায়ী থাকবে রাজ্য সরকারই, বললেন বিমান বসু


নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হলে দায়ী 
থাকবে রাজ্য সরকারই, বললেন বিমান বসু

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ২৮শে মার্চ—রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সংঘাতে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হলে তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকারই। বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম‌্যান ও সি পি আই (এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিমান বসু। এদিন বামফ্রন্টের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাজ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন করার দায়িত্ব রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। আমরা চাই, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় যা করা দরকার, তার সবরকম ব‌্যবস্থা নিক। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বও রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। 

এদিন বিকালে মুজফ্‌ফর আহ্‌মদ ভবনে বামফ্রন্টের এই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসন বণ্টন নিয়ে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলির মধ্যে জেলাভিত্তিক ঐক্য আলোচনার সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। বিমান বসু এদিন বলেন, অধিকাংশ জেলাতেই সার্বিক ঐক্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাঁকুড়া, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতে ইতোমধ্যেই সার্বিক ঐক্য ঘোষণা করা হয়েছে। মালদহ, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়াসহ কয়েকটি জেলা দেরিতে আলোচনা শুরু করায় এখনো পুরোটা হয়নি। তবে সব জেলাতেই ভালোভাবেই আলোচনা এগোচ্ছে। বাকি সব জেলাতেই দু-একটি আসন ছাড়া প্রায় সার্বিক ঐক্য হয়ে গেছে। দু’-একদিনের মধ্যেই সম্পূর্ণ ঐক্য হয়ে যাবে। বিমান বসু বলেন, বামফ্রন্টের শরিক দলগুলি আশাবাদী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন চূড়ান্ত হলেই সার্বিক ঐক্য হয়ে যাবে। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নানারকম রঙ চড়িয়ে গল্প লেখা হলেও আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট সমস্ত আসনেই লড়াই করবে। সেই অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিচ্ছে বামফ্রন্ট।

নির্বাচনের দিন ঘোষণা ও নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে বিতর্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, এদিন বামফ্রন্টের বৈঠকে তার তীব্র নিন্দা করা হয়। বিমান বসু বলেন, সরকার ও কমিশনের মধ্যে যে বিরোধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাকে আমরা অনভিপ্রেত বলে মনে করি। এরকম অবস্থা না হওয়াটাই বাঞ্ছনীয় ছিল। তিনি বলেন, এবারে যে নির্বাচন হতে চলেছে, তা অষ্টম পঞ্চায়েত সাধারণ নির্বাচন। এর আগে আরো সাতবার এরকম নির্বাচন হয়েছে বিগত বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে। বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে হাজারো কুৎসা করা হলেও কখনো এরকম বিরোধের পরিবেশ হয়নি। বর্তমান সরকার তো প্রথমবার একটা সাধারণ নির্বাচন করতেই গলদ্‌ঘর্ম হয়ে যাচ্ছে!

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বিমান বসু বলেন, ২০০৮সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল ৩দফায়। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ৩দফায়। ২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ৫দফায়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে আগের থেকে উন্নত হয়েছে এমনটা নয়। কিছু এলাকায় সংঘর্ষ চলছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে এমনকি খুনও হচ্ছে। মাঠপুকুর, বেহালা প্রভৃতি এলাকায় যেরকম ঘটনা ঘটছে, তা আগে কখনো হয়নি। সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বামফ্রন্ট কর্মীদের। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত ব‌্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কিছু সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। ৭৩তম সংবিধান সংশোধনীর মধ্যে এই অধিকারকে আরো পোক্ত করা হয়েছে। তাই রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মধ্যে সংঘাতে যদি অচলাবস্থা তৈরি হয়, তার জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকারই। 

বিমান বসু এদিন জানান, আগামী সোমবার পরবর্তী বামফ্রন্টের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইশ্‌তেহার নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচনা চূড়ান্ত হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে ইশ্‌তেহার প্রকাশ করা হবে।



নাকাশীপাড়ায় শিশুকে ধর্ষণের দায়ে ধৃত তৃণমূল নেতার পুত্র|


GANASHAKTI

নাকাশীপাড়ায় শিশুকে ধর্ষণের দায়ে ধৃত তৃণমূল নেতার পুত্র|

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর, ২৮শে মার্চ — বুধবার বিকেলে নাকাশীপাড়া থানার সোলী গ্রামের সাড়ে ৬ বছরের শিশু কন্যাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সংসার মোল্লার ছেলে সাদ্দাম মোল্লার বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত সাদ্দাম অকুস্থল গম খেতে শিশু কন্যাটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর গুরুতর জখম শিশু কন্যাটিকে প্রায় সংজ্ঞাহীন ও রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামবাসীরা উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় থানায় নিয়ে যান। নাকাশীপাড়া থানার পুলিস গুরুতর জখম শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠালে সেখানে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য সুপারিশ করা হয়। ইতোমধ্যে দ্রুত এই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত সাদ্দাম মোল্লার খোঁজে গ্রাম তোলপাড় করে তাকে ধরে ফেলে। উত্তেজিত জনতা সাদ্দামকে মারধর করে । পরে গ্রামবাসীরাই অভিযুক্ত সাদ্দামকে নাকাশীপাড়া থানায় পুলিসের হাতে তুলে দেন। 

কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা শিশু কন্যাটির পরিবারের লোকজন ও উপস্থিত গ্রামবাসীদের কাছ থেকে জানা গেছে, নাকাশীপাড়া থানার বিক্রমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলী গ্রামের এই শিশু কন্যা বাড়ির পাশের খোলা জায়গায় বসে খেলা করছিল। আচমকা গ্রামের পরিচিত তৃণমূলী নেতা সংসার মোল্লার ছেলে সাদ্দাম মোল্লা শিশুটির মুখ চেপে ধরে কিছুটা দূরে গম খেতের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর তার মুখ চেপে ধরা অবস্থায় তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালায়। শিশুটি ঘটনার আকস্মিকতায় ও গুরুতর জখম হয়ে প্রায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় গম খেতের মধ্যেই পড়ে থাকে। ইতোমধ্যে বেশ কিছুক্ষণ শিশুটির দেখা না পেয়ে বাড়ির লোকজনেরা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। এরও বেশ কিছুক্ষণ পর অত্যাচারিত শিশুটির খুড়তুতো ভাই নওয়াজ শেখ পাশের গম খেতের মধ্যে থেকে ভেসে আসা তার ছোট্ট বোনের ক্ষীণ স্বর শুনে ছুটে গিয়ে দেখে তার বোন খেতের মধ্যে পড়ে আছে। সে দৌড়ে গিয়ে খবর দেয় তার ঠাকুরদাকে। বাড়ির লোকজন গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে গুরুতর জখম ও অর্ধচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে নাকাশীপাড়া থানায় নিয়ে যান। থানা আধিকারিকের কাছে তাঁরা অভিযোগ দায়ের করেন। নাকাশীপাড়া থানা কেস নং-৩১৯/১৩ তারিখ-২৭.০৩.১৩। ইতোমধ্যে এই খবর গোটা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্ত সাদ্দামের বিরুদ্ধে উত্তেজিত গ্রামবাসী গোটা গ্রাম তোলপাড় করে তাকে ধরে ফেলে। গ্রামবাসীরা তাকে নাকাশীপাড়া থানার পুলিসের হাতে তুলে দেন। খবর পেয়ে পুলিসের সি আই শিশির কুমার পাল থানায় এসে ধর্ষিতা শিশু কন্যার কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন। তার সামনে শিশুটি অভিযুক্ত সাদ্দামকে শনাক্ত করে এবং তার উপর অত্যাচারের ঘটনার কথাও জানিয়ে দেয়। ইতোমধ্যে এই ঘটনার খবর পেয়ে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নাকাশীপাড়া জোনাল কমিটির সম্পাদিকা সেলিনা বেগমসহ বেশ কয়েকজন নেত্রী ও স্থানীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ নাকাশীপাড়া থানায় ছুটে যান। তাঁরা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সাথে দেখা করে অপরাধীকে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়াও মহিলা সমিতি রাজ্য সরকারকে অত্যাচারিত শিশুটির সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ ও পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়। সন্ধ্যায় নির্যাতিত শিশু কন্যটিকে পুলিসের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সুপারিশ করেন। বুধবার রাতেই তাকে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদিন কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল শারীরিকভাবে অত্যাচারিত ওই শিশু কন্যাটি তার মায়ের কোলে বসে শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। তার চোখেমুখে আতঙ্ক।

SUICIDE BY PIYALI MUKHERJEE, ADVOCATE


GANASHAKTI

তৃণমূল নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন উঠছে দলেই|

নিজস্ব প্রতিনিধি

দমদম ও বর্ধমান, ২৮শে মার্চ— রাজারহাটের বিলাসবহুল আবাসনে তৃণমূলের এক নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়েই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন, তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নিরপেক্ষ পুলিসী তদন্তের দাবি উঠতে শুরু করেছেন খোদ পরিবারের সদস্যদের থেকেই। দাবি তুলছেন তৃণমূল কর্মীদের একাংশও। দলের এক নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতেও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিস্ময়কর নীরবতা ঘটনার মাত্রা গভীর করেছে।

মৃত এই তৃণমূল নেত্রীর নাম পিয়ালী মুখার্জি (৩০)। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের আইনজীবী। তৃণমূলের দাপুটে নেত্রী বলেই পরিচিত ছিলেন। বর্ধমানের বাসিন্দা হলেও তিনি শেষদিকে কলকাতাতেই ছিলেন কর্মসূত্রে। তাঁর স্বামী, ৬বছরের কন্যা এবং পরিবারের সদস্যরা বর্ধমানেই থাকেন। পিয়ালী মুখার্জি রাজারহাটের নারায়ণপুর অঞ্চলের একটি বিলাসবহুল আবাসনে একাই থাকতেন। গত মঙ্গলবার রাতে ঘরের ভিতরেই তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। বুধবার আর জি কর হাসপাতালে ময়না তদন্ত হয়েছে। পরিবারসহ একাংশের তৃণমূল কর্মীদের দাবি শুধু ময়না তদন্তই নয়, মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের পুলিসী তদন্ত করতে হবে। 

এদিকে এয়ারপোর্ট থানা সূত্রে জানা গেছে, মৃতার ঘর থেকে ‘সুইসাইড নোট’ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পুলিস তাঁর ল্যাপটপ, ফাইল, কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে সুইসাইড নোটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুলিস কিছুই জানাতে চায়নি। পুলিস সূত্রে জানা গেছে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ঐ আবাসনের কেয়ারটেকারকে। পিয়ালী মুখার্জির গাড়ির ড্রাইভার হেমন্ত মুন্নার কাছ থেকেই জানা গেছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পর আর কোথাও যাননি তিনি। সেদিন রাতে তাঁর এক বান্ধবী এবং আরও একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে তাঁর ফ্ল্যাটে আসতে দেখা যায়। 

তবে এদিন পরিবারের তরফে দৃঢ়তার সঙ্গেই পিয়ালী মুখার্জির একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদের তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে কেন তড়িঘড়ি মানসিক অবসাদের তত্ত্ব খাড়া করার চেষ্টা চলছে? পিয়ালী মুখার্জি তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেত্রী ছিলেন। সেখান থেকেই তাঁর দ্রুত উত্থান, আর এই সময় থেকেই তাঁর সাথে পরিচয় তৃণমূলের রাজ্য নেতাদের সাথে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের তরফে বর্ধমানের দায়িত্ব পাওয়া কলকাতার এক দাপুটে নেতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ দলীয় মহলেও সুবিদিত। তিনি এখন মন্ত্রী। ২০১১সালে রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর সেই মন্ত্রীই অবৈধভাবে পিয়ালী মুখার্জির ভর্তির সুপারিশ করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তির জন্য ৫নম্বরে নাম থাকা সত্ত্বেও তালিকার ৪জনকে টপকে পিয়ালীকে ভর্তির সুপারিশ করেছিলেন ওই মন্ত্রী। এই নিয়ে তুমুল শোরগোলও হয় সে সময়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য যদিও সে নির্দেশ মানেননি। এছাড়াও যুবকল্যাণ দপ্তরে ক্রীড়া বিভাগে অস্থায়ী কাজেও নিযুক্ত হন পিয়ালী মুখার্জি।

গত দেড় বছর ধরেই রাজারহাটের নারায়ণপুর অঞ্চলের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকতেন পিয়ালী মুখার্জি। সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিল এমনও জানা গেছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের এই নেত্রীর আত্মহত্যার খবর এক তৃণমূল কর্মী দিয়েছেন তাঁর বর্ধমানের পরিবারের কাছে। ঘর বন্ধ থাকা সত্ত্বেও দরজা খোলার আগেভাগেই কী করে জানা গেলো আত্মঘাতী হয়েছেন পিয়ালী মুখার্জি ? পরে পুলিস দরজা ভেঙে পিয়ালী মুখার্জির মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিসের দাবি, সেখানে একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। যদিও পিয়ালীর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের সেই সুইসাইড নোট দেখানো হয়নি। 

পিয়ালীর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে কোন প্ররোচনা, অন্য কোনো ঘটনা রয়েছে কি না এই নিয়ে তাঁর পরিবারের মধ্যেই ধোঁয়াশা আছে। তাঁদের দাবি পুলিস তদন্ত করে প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করুক। তবে তৃণমূলের একাংশ নেতা, কর্মীর ধারণা পিয়ালী যদি আত্মঘাতীও হয়ে থাকেন তাহলে তাঁকে প্ররোচিত করা হয়েছে। তাঁদের দাবি বিচারবিভাগীয় তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়বে। বর্ধমানের পড়শী ও পরিবারের একটির সূত্রেই জানা গেছে কলকাতা তাঁর একা থাকা এবং তৃণমূলের ঐ মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নিয়ে কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছিল।

তবে দলের এক নেত্রীর এভাবে মৃত্যুর ঘটনাতেও কেন তৃণমূলের শীর্ষস্থানীয় কোন নেতৃত্ব এলেন না সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে একাংশের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। বুধবার পিয়ালী মুখার্জির মরদেহ বর্ধমানে আনা হলে তাঁর একমাত্র মেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। স্বামী ছিলেন নির্বাক। একজন তৃণমূল নেতা, নেত্রীকেও শেষকৃত্যে দেখা যায়নি। পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র হচ্ছে।

কেন্দ্রীয়বাহিনীই চায় কমিশন পুলিসের রিপোর্ট হাতে নিয়েই রাজ্যকে চিঠি


GANASHAKTI

কেন্দ্রীয়বাহিনীই চায় কমিশন পুলিসের রিপোর্ট হাতে নিয়েই রাজ্যকে চিঠি

নিজস্ব প্রতিনিধি

কলকাতা, ২৮শে মার্চ— কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়েই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চায় নির্বাচন কমিশন। নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকে ফের রাজ্য সরকারকে এই মর্মে চিঠি পাঠালো রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবারই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের চিঠি পৌঁছেছে রাজ্য সরকারের কাছে। মহাকরণে চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি। দুই পক্ষের বেনজির এই চিঠি চালাচালির জেরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে দিনক্ষণের অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। 

নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে গত মঙ্গলবার দু’দফার ভোটে জেলা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিলো রাজ্য সরকার। চিঠিতে কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর কথা এড়িয়ে গিয়েছিলো রাজ্য সরকার। সেই চিঠির উত্তর এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছে। চিঠির বিষয়বস্তু প্রসঙ্গে কোনো কথা সাংবাদিকদের বলতে চাননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব তাপস রায়। চিঠির বিষয় নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও এদিন তাপস রায় সাংবাদিকদের জানান,‘‘ আমাদের কাছে ক’দফার ভোট এখন বড় কথা নয়। পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তাই আমাদের কাছে অগ্রাধিকার।’’ নিরাপত্তার বিষয় যেখানে নির্বাচন কমিশনের কাছে অগ্রাধিকার সেখানেই আসলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কমিশনের এখনও মূল সঙ্ঘাত। 

নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট করা নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অনড়। অন্যদিকে রাজ্য সরকারও কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অবান্তর’ ও ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে উড়িয়ে সঙ্ঘাতকে আরও তীব্র করে তুলেছে। যার পরিণতি এই প্রথম রাজ্য পঞ্চায়েত ভোট করা নিয়েই এক নজিরবিহীন অচলাবস্থা। গত সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে ১১পাতার চিঠি এসেছিলো রাজ্য সরকারের কাছে। জেলা পুনর্বিন্যাস করে সেই চিঠির উত্তর গত মঙ্গলবার রাজ্য সরকার পাঠিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশনকে। জেলা পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে জট যে কাটেনি এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ফের রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠানোতেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। এদিন নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে,‘‘কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে আমাদের নড়চড় হওয়ার কোনো প্রশ্ন নেই।’’ এই অবস্থানে নির্বাচন কমিশন যে অনড় আছে সেকথাও এদিন জোরের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিন মহাকরণে নির্বাচন কমিশনের চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি সাংবাদিকদের জানান,‘‘চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে নতুনত্ব কিছু মনে হলো না।’’ চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে সাংবাদিকরা পঞ্চায়েতমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তাঁর জবাব ছিলো,‘‘ বিষয়বস্তু নিয়ে এখনই বলা যাবে না। চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, আইন দপ্তরের সচিব, পঞ্চায়েত সচিবের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপরই বলা যাবে।’’ চিঠিতে কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পঞ্চায়েতমন্ত্রীর উত্তর ছিলো, ‘‘দেখলাম না। ওটা আগের চিঠিতেই বলা ছিলো। তবে আমদের যা অবস্থান ছিলো তাই আছে।’’

রাজ্য সরকারের অবস্থানের অর্থ, পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিসের সশস্ত্রবাহিনী। গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠানোর আগে মহাকরণে সুব্রত মুখার্জি বলেছিলেন,‘‘আমাদের আমলে কেন্দ্রীয়বাহিনী ছাড়াই ১১টি পৌরসভার ভোট হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে সশস্ত্রবাহিনী দিয়ে ভোট করা যায় তার ব্যবস্থা করবো। প্রয়োজনে অন্য রাজ্য থেকে পুলিস আনা হবে।’’ কমিশনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধের জায়গা এখানেই। 

এদিনও কেন্দ্রীয়বাহিনী প্রসঙ্গে কমিশনের সচিব জানান,‘‘এবার আমরা ৮০০কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী চেয়েছি। তারমধ্যে ৩০০কোম্পানি চেয়েছি মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। আমরা কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়েন করার কথাই সরকারকে বলেছি।’’ রাজ্য সরকারকে এদিনে পাঠানো চিঠিতে সেই কথাই উল্লেখ করা হয়েছে? এই প্রশ্নে রাজ্য কমিশন সচিব জানান,‘‘ চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে কোনো মন্তব্য করছি না। রাজ্য সরকারের চিঠি পেয়ে যেটা জানানো দরকার সেটাই জানিয়েছি। এবার আমরা চিঠি দিয়ে জানালাম। জানতে চাইলাম না।’’ নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর এবারের চিঠিতে কেন কেন্দ্রীয়বাহিনী দিয়ে কমিশন ভোট করতে চায় সেকথাই বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিশনের ৮০০কোম্পানি কেন্দ্রীয়বাহিনী চাওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ,‘‘আমরা জেলাশাসক, পুলিস সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আলোচনা করেছি। তার ভিত্তিতেই কমিশন কেন্দ্রীয়বাহিনী চেয়েছে।’’ 

অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটপর্ব পরিচলনা করা যেমন কমিশনের দায়িত্ব। তেমনই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বামফ্রন্টসহ বিরোধী দল। মঙ্গলবারই সি পি আই (এম) নেতা রবীন দেবের নেতৃত্বে রাজ্য বামফ্রন্টের এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে দেখা করে অবাধ ও শান্তপূর্ণ ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়ে এসেছিলেন। কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বর্তমানে রাজ্যে কীভাবে বামপন্থী কর্মী, সমর্থকদের ওপর হামলা, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, হুমকি দেওয়া হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার দাবি জানায় বামফ্রন্ট। নির্বাচন কমিশনেরও লক্ষ্য, পঞ্চায়েত ভোটকে শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া। এদিন সেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সকাল থেকেই ব্যস্ত ছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। সকালে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বেলা ১টা নাগাদ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে আসেন কমিশনার। তারপর দফায়, দফায় বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বৈঠক করেন মীরা পাণ্ডে। বিকালে ফের তিনি বেরিয়ে যান। সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে চিঠি দেওয়ার কথা জানান কমিশন সচিব তাপস রায়।

কিন্তু এখন প্রশ্ন, বহুচর্চিত সেই পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে? 

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট এখন আর ক’দফায় হবে তা নিয়ে তেমন বিতর্ক নেই। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েই সঙ্ঘাত কিছুমাত্র কমেনি। রাজ্য সরকারের ধারণা ছিলো, এদিন হয়তো তাঁদের দাবিমতো নির্বাচন কমিশন ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেবে। সে পথে হাঁটা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয়বাহিনী নিয়ে অনড় নির্বাচন কমিশন ফের এদিন চিঠি দিল রাজ্য সরকারকে। কমিশন সচিব জানান,‘‘ চিঠি পাঠালে তার একটা উত্তর পাওয়ার আশা থাকেই।’’

সেই উত্তর রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কবে পাওয়া যাবে?

পঞ্চায়েতমন্ত্রীর কথায়, চিঠি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব সহ সচিব পর্যায়ের বৈঠক করবেন। তারপর চিঠির উত্তর দেওয়ার কথা। সব মিলিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটের পূর্ব ঘোষিত দিনক্ষণ এখন অনিশ্চয়তায়।